ভারত বিবিধের দেশ যেখানে অনেক প্রকারের লোকজন, সংস্কৃতি, উৎসব ইত্যাদি মিলে দেশকে আরো বেশি খুবসুন্দর বানায়। ভারতে মানানো এই উৎসব বিভিন্ন ধর্মে খুব সুন্দর ভাবে পরিভাষিত করা হয়। হোলি,দীপাবলী, ঈদ,বড়দিন ইত্যাদিকে উদাহরণের রূপে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এই বড় উৎসব ছাড়াও কিছু বিশেষ দিন হয় যা নিজের নিজের ধার্মিক সাংস্কৃতিক মান্যতার দ্বারা সৌভাগ্যশালী মানা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মের এরকম আরো একটি উৎসব হল অক্ষয় তৃতীয়া।
আপনার কুষ্ঠীর শুভ যোগ জানার জন্য এক্ষুনি কিনুন এস্ট্রসেজ বৃহৎ কুন্ডলী
অক্ষয় তৃতীয়া বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে মানানো খুব সৌভাগ্যশালী দিন হিসেবে মানা হয়ে থাকে। এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া 26 এপ্রিল 2020, রবিবারের দিন মানানো হবে।
যদিও বাকি সব দিনেই কোনো না কোনো শুভ/অশুভ মুহূর্ত হয়ে থাকে, কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়া এমন একটি সর্বসিদ্ধি দেওয়া দিন মানা হয়ে থাকে, যাতে কোন মুহূর্তের প্রয়োজন পড়ে না। অক্ষয় তৃতীয়া কে গোনা হয়েছে।
অক্ষয় তৃতীয়ার পূজার মুহূর্ত: 05 বেজে 48 মিনিট থেকে 12 বেজে 19 মিনিট পর্যন্ত।
সোনা কেনার শুভ সময়: 05 বেজে 48 মিনিট থেকে 13 বেজে 22 মিনিট পর্যন্ত।
তৃতীয়া তিথি প্রারম্ভ: 11:51 (25 এপ্রিল 2020)
তৃতীয়া তিথি সমাপ্তি: 13:22 (26 এপ্রিল 2020)
বুধের মেষ রাশিতে গোচরের তথ্য জানার জন্য এখানে - ক্লিক করুন।
যে কোন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য প্রশ্ন করুন
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সোনা কেনার পরম্পরা বছরের-পর-বছর থেকে চলে আসছে। এই দিনের ব্যাপারে এরকম মান্যতা রয়েছে, যে এরকম করার ফলে মানুষের ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি এসে থাকে, এছাড়া এরকম বলা হয়ে থাকে যে এই দিন নিজের উপার্জনের একটি অংশ দান করা উচিত। এছাড়া অক্ষয় তৃতীয়া থেকে অনেক মান্যতা আর অনেক কাহিনীও জড়িত আছে। অক্ষয় ত্রিতিয়া তে ভগবান পরশুরাম জয়ন্তীর রূপে মানানো হয়ে থাকে। এছাড়া ভগবান বিষ্ণুর অবতার নরনারায়ন কে অবহিত হওয়ার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন এর সাথে জড়িত রয়েছে। তার সাথে এটিও মানা হয়ে থাকে যে ক্রেতা যুগের শুরু এই দিন থেকেই হয়েছিল। মান্নত অনুসারে এইদিন ব্রস্নান দান এইসব এর গুরুত্ব বলা হয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে এই দিন যারা ব্রত রাখেন আর তারপরে দান পূর্ণ করেন, উনাদের কখনো কোন জিনিসের অভাব হয় না। এরকম বলা হয়ে থাকে এই ব্রতের ফল কখনো কম হবে না, অঘটন কখনো হবে না, সেইজন্য এটিকে অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়ে থাকে।
প্রাচীনকালে একটি খুব গরিব আর সদাচারী বৈশ্য ছিলেন। উনার দেবতাদের প্রতি খুব বিশ্বাস ছিল, দিনরাত বিরক্ত থাকতেন। একদিন বৈশ্যের এই সমস্যা দেখে বা এই বিরক্তি দেখে একটি ব্রাহ্মণ উনাকে অক্ষয় তৃতীয়ার ব্রতের ব্যাপারে বলেন। ব্রাহ্মণ কে সেই উৎসবের দিন স্নান, দানের ও গুরুত্ব বলেন। বৈশ্য ঠিক তেমনি করলেন যেমন সেই ব্রাম্ভন বলেছিলেন। ব্রতের প্রভাবে কিছুদিনের মধ্যেই উনার ব্যবসা খুব ভালো চলতে লাগে আর এবার তিনি হাসিখুশি থাকতে লাগলেন।
এরপরে উনি আজীবন অক্ষয় তৃতীয়ার ব্রত আর দান পূর্ণ করা শুরু করে দিলেন। আগামী জন্মে বৈশ্য জন্ম কুশা বতীর রাজা রূপে হয়। শুধু তাই নয় উনি এতটাই দুনিয়ার প্রতাবী রাজা ছিলেন যে নিজেকে ভগবান ব্রহ্মা বিষ্ণু আর মহেশ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উনার দুয়ারে ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে উনার মহাজগতে শামিল হওয়ার জন্য আসতেন। এত সম্পত্তি আর এতটা সম্মান পাওয়ার পরেও উনি কখনো নিজের শ্রদ্ধা আর ভক্তি মার্ক থেকে সরেন নি। এই রাজাই আগে গিয়ে রাজা চন্দ্রগুপ্তের রূপে জন্ম হয়েছিল।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন এই মন্ত্র উচ্চারণ করে দূর হবে সব কষ্ট, "ওঁ ভাস্করাই বিগ্রহ মহতেজায়া ধীমহি, তন্নো সূর্য: প্রচোদায়াত”
যদি আপনার কুষ্টিতে উপস্থিত কোন দোষের কারণে আপনার বিবাহের মুহূর্ত বার করতে পারছেন না তাহলে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বিনা লগ্ন মুহূর্তে বিবাহ করলে আপনার দাম্পত্য জীবন সফল হবে। এটি কারণ যা চলাকালীন আজও অক্ষয় তৃতীয়ার দিন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা,বাঙ্গাল ইত্যাদিতে জায়গায় হাজারো সংখ্যাতে বিবাহ হয়ে থাকে।
এছাড়া যদি আপনার কোন কাজ লম্বা সময় থেকে আটকে রয়েছে বা কোনো কাজ হচ্ছে না, অনেক ব্রত আর উপবাস করার পরেও আপনার কোন মনস্কামনা পূরণ হচ্ছে না বা আপনার ব্যবসাতে অনবরত লোকসান হচ্ছে, তাহলে আপনার জন্য অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খুব শুভ প্রমাণিত হতে পারে।
এছাড়া যদি উপার্জনের পরেও আপনার ঘরে অর্থ থাকছে না বা সঞ্চয় হচ্ছে না বা আপনার ঘরে সুখ শান্তি নেই সন্তান সঠিক পথে চলছে না উনার জীবনে কোন দুঃখ রয়েছে, আপনার শত্রু চারিদিক থেকে আপনার উপর হাবি হয়ে রয়েছে তা হলেও এরকম সময়ে অক্ষয় তৃতীয়ার ব্রত করা বা ব্রত রাখা আর নিজের ইচ্ছানুসারে দান পূর্ণ করা আপনার জন্য ফলদায়ক প্রমাণিত হতে পারে।
যদি আপনি কোন নতুন ঘর, জায়গা - জমিন ইত্যাদি কিনতে চান তার জন্য ও অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটি খুব শুভ মানা হয়ে থাকে।
রত্ন, রুদ্রাক্ষ সমেত সব জ্যোতিষীয় সমাধানের জন্য ক্লিক করুন : এস্ট্রসেজ অনলাইন শপিং স্টোর