কুষ্ঠি মিলন / কুন্ডলী মিলন / বিয়ের জন্য বিনামূল্যে কুষ্ঠি বিচার/মিলন
বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নক্ষত্র (লুনার কনস্টেলেশনস) এর উপর ভিত্তি করে কুষ্ঠি মিলন একটি চমৎকার এবং কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত যা অষ্টকুট মিলন বা গুন্ মিলন বলেও জানা যায়।
এই কুণ্ডলী বা কুষ্ঠি মিলন পদ্ধতি বিবাহের পূর্বে জাতকদের কুষ্ঠির গুণাবলী ও বৈশিষ্ট গুলিকে বিশ্লেষণ করে এবং তার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে জাতক ও জাতিকার দাম্পত্য জীবন কতটা সফল হওয়ার সম্ভাবনা, তার জানান দেয়। কুষ্ঠি মিলন করার পর বিবাহ সাফল্যের সম্ভাবনা পরিমাপ করা হয়। যদি দেখা যায় পাত্র পাত্রীর মধ্যে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তাহলে জ্যোতিষরা সেই বিবাহের জন্য সম্মতি দেয়। অপরদিকে যদি কুষ্ঠি মিল্পনের পর দুই জাতক ও জাতিকার মধ্যে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আকম মনে হয়, তাহলে জ্যোতিষীরা বিবাহের আগে সাবধান বাণী করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে জোট বদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা হয়। এই পদ্ধতি খুবই প্রচলিত ও প্রাচীন ও আজ হিন্দু সমাজে এই পদ্ধতি খুবই প্রাসঙ্গিক। এই পদ্ধতি মেনে বিবাহের রেওয়াজ বহুল প্রচলিত বলে বেশির ভাগ জাতক ও জাতিকা বিবাহের পূর্বে তাদের আসন্ন দাম্পত্য জীবন কতটা সফল ও প্রেম ভালোবাসা পূর্ণ হতে পারে, তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করে। পাত্র ও পাত্রীর কুষ্ঠিতে বিভিন্ন ধরণের যোগের উপস্থিতি থাকে ও তার ওপর ভিত্তি করে কুষ্ঠি মিলন করা হয়। যদিও এই পদ্ধতি শুধুমাত্র বিবাহের জন্য সীমাবদ্ধ নয় এবং সামান্য সংশোধন সহ ছেলে এবং মেয়েটির মধ্যে সামঞ্জস্য বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক সময় এ দেখা যায় বিবাহের পূর্বে ও বিবাহের পর পর পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে সহায়ক মিলমিশ বজায় থাকলেও পরবর্তী কালে তাদের জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় ও দাম্পত্য জীবনে সামঞ্জস্যের অভাবের ফলে একে ওপরের থেকে আলাদা হয়ে যেতে বাধ্য হয়। ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হলো দাম্পত্য জীবনে কলহ ও মিলমিশের অভাব। এই কারণে কুষ্ঠি মিলনকে বিবাহের পূর্বে খুবই গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়।