নবরাত্রি পঞ্চম দিন, শুভ যোগে করা হবে স্কন্দমাতার পূজো
নবরাত্রি চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে আর এই দিন থেকে হিন্দু নব বর্ষের শুরু হয়ে ছিল। এখনো পর্যন্ত আপনি চৈত্র নবরাত্রিতে মা দূর্গার চার রূপের বিধি-বিধানে পূজো-অর্চনা করেছেন আর এটি আপনার জন্য শুভ আর ফলদায়ী ছিল এই কামনার সাথে এগিয়ে যাওয়া যাক আর জানা যাক যে নবরাত্রি পঞ্চম দিন স্কন্দমাতার স্বরূপের ব্যাপারে।
এই বছর চৈত্র নবরাত্রি 2023 তে স্কন্দমাতার পূজো 26 মার্চ 2023 পঞ্চমী তিথিতে করা হবে। শাস্ত্র অনুসারে মা দূর্গার পঞ্চম স্বরূপের পূজো ভগবান কার্তিকেয় (স্কন্দ) র মাতার রূপে করা হয়ে থাকে। স্কন্দমাতা চার ভূজধারী যার মধ্যে মাতা নিজের দুই হাতে কমলের ফুল ধরে রেখেছেন। তার একটি হাত উপরের দিকে উঠে রয়েছে যা দিয়ে তিনি ভক্তদের আশীর্বাদ দেন আর একটি হাতে তিনি কোলে বসে থাকা তার পুত্র স্কন্দ কে ধরে রেখেছেন। মান্যতা অনুসারে নবরাত্রির পঞ্চম দিন দেবী স্কন্দমাতার বিধি অনুযায়ী পূজোর ফলে ধন, যশ, শান্তি আর বলের প্রাপ্তি হয়ে থাকে। তাহলে আসুন এস্ট্রসেজের এই বিশেষ ব্লগের মাধ্যমে জানুন নবরাত্রির পঞ্চম দিন শ্রদ্ধালুদের কোন পূজোর বিধি পালন করা উচিত আর কী-কী উপায়, ধার্মিক অনুষ্ঠান, কর্মকান্ড করা উচিত কিন্তু তার আগে এই দিন কোন শুভ যোগ তৈরী হচ্ছে সেটি জেনে নেওয়া যাক।
दुनियाभर के विद्वान ज्योतिषियों से करें फ़ोन पर बात और जानें करियर संबंधित सारी जानकारी
শুভ যোগে হবে নবরাত্রির পঞ্চমী তিথি
নবরাত্রির পঞ্চমী তিথির প্রারম্ভ প্রীতি যোগে হচ্ছে। প্রীতি যোগ পরস্পর প্রেমে বিস্তার করে আর এই যোগে স্বামী ভগবান বিষ্ণুও রয়েছেন। এটিকে মঙ্গল দায়ক যোগও বলে। যদি বিবাহের সময় সঠিক লগ্ন, মুহূর্ত ইত্যাদি না থাকে তাহলে প্রতি যোগে বিবাহ করা শুভ মানা হয়ে থাকে। এই যোগে করণীয় কার্য থেকে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়ে থাকে।
প্রীতি যোগ প্রারম্ভ: 26 মার্চ 2023 রাত 12 বেজে 18 মিনিট থেকে
প্রীতি যোগ সমাপ্ত: 26 মার্চ 2023 রাত 11 বেজে 23 মিনিট পর্যন্ত।
দেবী স্কন্দমাতার পূজোর গুরুত্ব
স্কন্দমাতার উপাসনা বা আরাধনা করলে ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ হয় এবং মোক্ষের প্রাপ্তি হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, স্কন্দমাতা হলেন মা পার্বতীর রৌদ্ররূপ। মায়ের এই রূপের পূজা তাদের জন্য বিশেষভাবে ফলদায়ক প্রমাণিত হয় যারা সন্তান লাভে বাধার সম্মুখীন হন। বিশ্বাস করা হয় যে স্কন্দমাতার পূজা করলে শিশু রূপ স্কন্দ কুমারের পূজা সম্পন্ন হয়, তাই পূজার সময় কুমার কার্তিকেয়কে অবশ্যই স্কন্দমাতার ছবি বা মূর্তির মধ্যে উপস্থিত থাকতে হবে।
बृहत् कुंडली में छिपा है, आपके जीवन का सारा राज, जानें ग्रहों की चाल का पूरा लेखा-जोखा
দেবী স্কন্দমাতার পূজন বিধি
-
এই দিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান ইত্যাদি সেড়ে পরিষ্কার বস্ত্র ধারণ করুন আর ব্রতের সংকল্প নিন।
-
তারপর গঙ্গা জল বা গোমূত্র দিয়ে পুরো ঘর শুদ্ধ করুন।
-
এরপর পূজার স্থানে স্কন্দমাতার মূর্তি বা ছবি স্থাপন করুন।
-
পূজোর স্থানে চাঁদি, তামা বা মাটির কলসীতে করে জল নিন এবং তাতে কিছু মুদ্রা রাখুন।
-
মাকে তার প্রিয় ভোগ, খাদ্যদ্রব্য, ফল, ফুল ইত্যাদি নিবেদন করুন। স্কন্দমাতা সাদা রং খুব পছন্দ করেন, তাই পূজার সময় মাকে দুধ ও কলার তৈরি ক্ষীর অর্পিত করতে ভুলবেন না। এর সাথে, দেবীর পূজার সময়, আপনি নিজেও সাদা বা হলুদ রঙের পোশাক পরিধান করুন।
-
তারপর শেষে দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করুন।
মা স্কন্দমাতার মন্ত্র
'ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মা স্কন্দমাতা রূপেন সংস্থিতা।
নমস্তস্যায় নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।
সিংহসংগত নিত্যম পদ্মশ্রিতকর্দ্বয়।
শুভদাস্তু সদা দেবী স্কন্দমাতা যশস্বিনী।।’
পূজার সময় স্কন্দমাতার মন্ত্র জপ করলে জীবনে সুখ শান্তি আসে। মনে রাখবেন জপ যেন শুদ্ধ ও পরিষ্কার হয়।
মা স্কন্দমাতার কথা
পৌরণিক কথা অনুসারে, তারকাসুর নামে একটি রাক্ষস ভগবান ব্রম্ভাকে প্রসন্ন করার জন্য কঠোর তপস্যা আর যজ্ঞ করেন। তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান ব্রহ্মা তাকে দর্শন দেন এবং তাঁকে বর চাইতে বলেন। তারকাসুর ব্রহ্মার কাছে অমর হওয়ার বর চান। এর উপর ব্রহ্মা তারকাসুরকে বোঝান যে যার জন্ম হবে তাকে মরতে হবে। এতে তারাকাসুর ভগবান শিবের পুত্রের হাতে মৃত্যুর বর চেয়েছিলেন কারণ তারাকাসুর মনে করেছিলেন শিব কখনই বিয়ে করবেন না। এসময় তার পুত্র হওয়ার কোন আশা নেই এবং তিনি মারা যাবেন না এবং এই বরদান নিয়ে তিনি অমর হয়ে যাবেন।
ব্রম্ভা তারকাসুরকে বরদান দিয়ে দেন আর বরদান পাওয়া মাত্রই সে লোকেদের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দেন। রাক্ষসের থেকে বিরক্ত হয়ে লোকেরা শিবাজীর কাছে মুক্তি পাওয়ার প্ৰাপথনা করেন। তারপর শিবাজী মাতা পার্বতীর সাথে বিবাহ করান আর তাপরে ভগবান কার্তিকেয় জন্ম নেন। কার্তিকেয় বড় হলে রাক্ষস তাঁরকাসুরকে বধ করেন। ভগবান স্কন্দ অর্থাৎ কার্তিকেয়ের মা হওয়ার কারণে তাকে স্কন্দমাতা বলা হয়ে থাকে।
पाएं अपनी कुंडली आधारित सटीक शनि रिपोर्ट
নবরাত্রি পঞ্চম দিন: রাশি অনুসারে অছুক উপায়
মেষ রাশি
মেষ রাশির জাতক/জাতিকা নবরাত্রির পঞ্চম দিন 36 লং আর 6 কপ্পুরের টুকরো নিন, তাতে হলুদ আর চাল মিশিয়ে স্কন্দমাতাকে আহুতি দিন। আহুতি দেওয়ার আগে “ওং স্কন্দমাত্রে নমঃ” মন্ত্রের জপ করুন।
বৃষভ রাশি
বৃষভ রাশির জাতক/জাতিকা লং আর কপ্পুরে বেদনার দানা মিশিয়ে স্কন্দমাতাকে আহুতি দিন। এরকম করার ফলে সন্তানের সুখ প্রাপ্তিও হয়। আহুতির আগে সামগ্রীতে পাঁচ মালা বাঁধা নিবারণের মন্ত্র অবশ্যই পড়ুন।
মিথুন রাশি
মিথুন রাশির জাতক/জাতিকা লং আর কপ্পুরে অমলতাস ফুল মেশান, যদি অমলতাস না থাকে তাহলে যে কোন হলুদ ফুল মিশিয়ে মা কে আহুতি দিতে পারেন। এরফলে আপনার ব্যাবসাও খুব বৃদ্ধি হবে।
কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতক/জাতিকা 152 লং আর 42 কপ্পুরের টুকরো নিয়ে তাতে নারকেলের মালয়ে মধু আর মিশ্রী মিশিয়ে এগুলি দিয়ে যজ্ঞ করুন। এরকম করার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতক/জাতিকা লং আর কপ্পুরে গুড় আর ক্ষীর মিশিয়ে স্কন্দমাতাকে আহুতি দিন। এরকম করার ফলে আপনি সম্পত্তি সম্বন্ধিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জাতক/জাতিকা বট গাছে দুধ, দই, ঘী, অক্ষত, ধাগা চড়ান আর সেটির আগে প্রদীপ জ্বালান। এরকম করার ফলে যে কোন কাজে আসা বাঁধার সমাপ্তি হয়ে যাবে।
তুলা রাশি
তুলা রাশির জাতক/জাতিকা এই দিন গরুকে চারা খাওয়ান আর প্রণাম করে আশীর্বাদ নিন। এরকম করার ফলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে।
বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক রাশির জাতক/জাতিকা চন্দ্রমার অর্ঘ্য দিন। এরকম করার ফলে সুহাগ এবং সন্তান দুজনেরই স্বাস্থ্য ভালো হয়ে থাকে।
ধনু রাশি
ধনু রাশির জাতক/জাতিকা নবরাত্রির পঞ্চম দিন ঘরের কাছে যে কোন শক্তিপীঠ বা দেবী মন্দিরে গিয়ে শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। এরপরে দেবী ভগবতীর 32 নামের কমপক্ষে 32 বার জপ করুন।
মকর রাশি
মকর রাশির জাতক/জাতিকা পঞ্চমী তিথির দিন পূজো করুন স্কন্দমাতাকে ক্ষীর ভোগ দিন আর এই প্রসাদ কন্যাদেরও দিন। এরকম করার ফলে মনুষ্যের বৃদ্ধি বিকাশ হয়ে থাকে।
কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতক/জাতিকা মা স্কন্দমাতাকে কলা ভোগ দিন। যদিও কলা না হলেও আপনি বাতাসও ভোগ দিতে পারেন।
মীন রাশি
মা স্কন্দমাতা কে লাল রংয়ের ফুল প্রিয়। এই সময় আপনি মা স্কন্দমাতাকে লাল গোলাপ ফুল অর্পিত করতে পারেন। এই রকম করার ফলে আপনার সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হবে।
নোট: প্রত্যেকেই প্রদত্ত উপায়গুলি গ্রহণ করতে পারে।
सभी ज्योतिषीय समाधानों के लिए क्लिक करें: ऑनलाइन शॉपिंग स्टोर
हम उम्मीद करते हैं कि आपको हमारा यह ब्लॉग ज़रूर पसंद आया होगा। अगर ऐसा है तो आप इसे अपने अन्य शुभचिंतकों के साथ ज़रूर साझा करें। धन्यवाद!