বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, সৌরজগতের 9 টি গ্রহের মধ্যে মঙ্গলের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। তিনি গ্রহের সেনাপতি উপাধি পান। এ কারণেই মঙ্গল গ্রহ সাহস, শক্তি, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, সম্পর্ক, ভূমি, শক্তি, রক্ত ও বীরত্বের কারক উপাদান পায়। কোনো ব্যক্তির কুণ্ডলীর ঊর্ধ্বাকাশে বা নির্দিষ্ট বাড়িতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান সেই রাশিতেও মঙ্গল দোষের সৃষ্টি করে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তির কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান মজবুত ও প্রবল, সেই ব্যক্তি অবশ্যই জীবনে পরাক্রম, সুখ ও সম্পদ লাভ করেন। এই ধরনের লোকদের তাদের ভাইবোনদের সাথেও ভাল সম্পর্ক থাকে এবং তাদের মধ্যে প্রায়ই ভ্রাতৃত্ব দেখা যায়।
কিন্তু এর বিপরীতে, কোন কুণ্ডলীতে মঙ্গল দোষ বা মাঙ্গলিক দোষের হওয়া ব্যক্তির বিবাহিত জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা তৈরি করে। এই ত্রুটির কারণে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার অভাব হয়। কারণ মাঙ্গলিক দোষ জাতক/জাতিকাদের বিবাহিত জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। এ কারণে জাতক/জাতিকাদের বিয়েতে বিলম্বের পাশাপাশি বিয়েতেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি।
এছাড়াও, ব্যক্তি আজীবন আইনি বিরোধের শিকার হতে পারে, লোন বা ঋণের কারণে সমস্যায় পড়ে, বৈবাহিক সুখ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি গুরুতর আঘাত বা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই, রাশিফলের সমস্ত দোষের মধ্যে মঙ্গল দোষকে অত্যন্ত কার্যকর জীবনে প্রভাবিত করে বলে করা হয় এবং এর জন্য জ্যোতিষীরাও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার পরামর্শ দেন।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক, কুণ্ডলীতে মাঙ্গলিক দোষ কী কী ধরনের তৈরি হয় এবং এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ প্রতিকার কী হবে।
বিয়েতে হচ্ছে দেরী বা বিবাহিত জীবনে সমস্যা? পান সমাধান: জ্যোতিষীয় পরামর্শ
দেখা গেছে যে যখনই বিয়ের কথা আসে, সাধারণত প্রথমেই পাত্র-পাত্রীর জন্ম কুন্ডলী মেলানো হয়। এ সময় তাদের উভয়ের কুণ্ডলীতে মাঙ্গলিক রাশিফল বিবেচনা করে জ্যোতিষী জানার চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে কেউ মাঙ্গলিক কিনা? এসময় ছেলে বা মেয়ের মধ্যে কেউ যদি মাঙ্গলিক হয়ে থাকে, তবে এ অবস্থায় বিয়ে অনুমোদিত নয়। কারণ জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বিবাহের জন্য উভয় রাশির মাঙ্গলিক হওয়া বা উভয় রাশির মাঙ্গলিক না হওয়া আবশ্যক।
আসলে, আপনি আপনার জীবনে বহুবার এই দোষ সম্পর্কে আলাদা-আলাদা জিনিস এবং বিশ্বাস শুনেছেন। কিন্তু জানেন কি মাঙ্গলিক কুন্ডলিও তিন প্রকারের হয়ে থাকে। এছাড়াও, তিনটি ধরণের মাঙ্গলিক দোষেরই নিজস্ব ভিন্ন প্রভাব রয়েছে। আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক…
বৃহৎ কুন্ডলী তে লুকিয়ে রয়েছে, আপনার জীবনের সমস্ত রহস্য, জানুন গ্রহের গতিবিধির পুরো লেখা-ঝোকা
জ্যোতিষশাস্ত্রে মাঙ্গলিক কুণ্ডলী প্রধানত তিন প্রকার। যা কিছুটা এই প্রকারের হয়ে থাকে:-
ক্রম সংখ্যা | মাঙ্গলিক কুন্ডলীর প্রকার |
|
सामान्य मांगलिक कुंडली या पत्रिका, |
|
द्विबल मांगलिक कुंडली या पत्रिका और, |
|
त्रिबल मांगलिक कुंडली या पत्रिका |
যে সব জাতকদের জন্ম কুন্ডলীতে লাল গ্রহ মঙ্গল গ্রহটি প্রথম অর্থাৎ লগ্ন ভাব, চতুর্থ ভাব, সপ্তম ভাব, অষ্টম ভাব এবং দ্বাদশ ভাবে (1-4-7-8-12) উপস্থিত থাকলে, এই স্থিতি কুন্ডলীতে সাধারণ মাঙ্গলিক দোষ তৈরি করবে।
2. দ্বিবল মাঙ্গলিক কুন্ডলী :কোন ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল প্রথম অর্থাৎ লগ্ন ভাবে, চতুর্থ ভাবে, সপ্তম ভাবে, অষ্টম ভাবে এবং দ্বাদশ ভাবে (1-4-7-8-12) হওয়ার পাশাপাশি এর নিম্ন রাশি কর্কট থাকার পরিস্থিতি কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের ক্ষতিকর প্রভাব বাড়ায়। এছাড়া 1, 4, 7, 8 আর 12 ভাব থেকে যে কোন ভাবে মঙ্গল ছাড়াও সূর্যের বাইরে অন্য কোনো গ্রহ, শনি, রাহু বা কেতুও ভাবেও উপস্থিত হলে, তখন সেই কুন্ডলীতে দিব্বল মাঙ্গলিক দোষের নির্মাণ হয়ে থাকে।
3. ত্রিপল মাঙ্গলিক কুন্ডলী:যদি কোন ব্যক্তির জন্ম কুন্ডলীতে প্রথম অর্থাৎ লগ্ন ভাব, চতুর্থ ভাব, সপ্তম ভাবে, অষ্টম ভাবে এবং দ্বাদশ ভাবে (1-4-7-8-12) মঙ্গলের উপস্থিতির সাথে-সাথে তার নিম্ন রাশির সাথে কর্কট রাশি হয়ে থাকে তার সাথেই এই ভাবে শনি, রাহু, কেতুও উপস্থিত থেকে, তবে এই অবস্থা মঙ্গল দোষের প্রভাব তিনগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই ধরনের কুন্ডলীকে জ্যোতিষশাস্ত্রে ত্রিপল মাঙ্গলিক পত্রিকা বলা হয়।
জানুন আপনার সাল 2022 র অবস্থা - বার্ষিক কুন্ডলী 2022
অনলাইন সফটওয়্যার থেকে বিনামূল্যে জন্ম কুন্ডলী প্রাপ্ত করুন
আচার্য্য হরিহরণ র সাথে এক্ষণি ফোন/চ্যাটের মাধ্যমে বলুন কথা
রত্ন, যন্ত্র সমেত সমস্ত জ্যোতিষীয় সমাধানের জন্য ভিসিট করুন : এস্ট্রসেজ অনলাইন শপিং স্টোর